বুধবার (১৩মার্চ) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আগামী ১০ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
তিনি বলেন, ৬ মার্চ বায়ুদূষণ নিয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে দু’টি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে উদ্বৃতি করে বলা হয়েছে, ঢাকা শহর বায়ুদূষণের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় শহর। ওই প্রতিবেদনে পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন পরিচালক বলেছেন যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রতিবেদনটি সঠিক নয়। এজন্য আদালত ওই পরিচালককে তলব করেছেন। আগামী ১০ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
এছাড়া বায়ুদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে বা নেওয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে আদালতে প্রতিবেদনও দিতে হবে।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট আদেশ দেন।
ওই আদেশে রাজধানীতে যাদের কারণে বায়ুদূষণ হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা, ঢাকা শহরের যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার (রাস্তায় এবং নির্মাণাধীন কাজের জায়গা) কাজ চলছে সেসব এলাকা ঘেরাও করে কাজ করার পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন আদালত।
১৫ দিনের মধ্যে আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ পালন করে এর দুই সপ্তাহের মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিলো।
এছাড়াও যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ চলছে এবং যেসব এলাকা ধুলাবালি প্রবণ, যেসব এলাকায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিনে দুইবার পানি ছিটাতে দুই সিটির মেয়র ও নির্বাহীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো।
বুধবার মনজিল মোরসেদ বলেন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর অগ্রগতি প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে তারা কোথায় কোথায় তা পরিচালনা করেছে এবং কতটি মামলা হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু সিটি করপোরেশন আদালতের নির্দেশনা যেভাবে বাস্তবায়ন করার কথা সেভাবে করেনি। ফলে আদালত তাতে উষ্মা প্রকাশ করে সিটি করপোরেশনকে আবার প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
ইএস/জেডএস