রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে চলছে এ বিচার কর্যক্রম। এরই মধ্যে আদালতে মামলার ৩৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু বলেন, বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ পর্ব শেষ হয়েছে।
আগামী ২১ মার্চ আসামি পরীক্ষার জন্য দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার। এ দু’জনের সাক্ষী দিয়ে মোট ৩৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো। আসামি পরীক্ষার পর মামলার যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করা হবে। মূলত এর পরই মামলার রায়ের জন্য দিন ধার্য হবে বলেও জানান এ আইন কর্মকর্তা।
এর আগে ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে খুন হন শফিউল ইসলাম। ঘটনার পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মুহাম্মদ এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মহানগরের মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২৩ নভেম্বর যুবদল নেতা আব্দুস সামাদ পিন্টুসহ ছয়জনকে আটক করে র্যাব। পরে পিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আখতার রেশমাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। টানা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে রেশমা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।
পরে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক রেজাউস সাদিক জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়কসহ আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাসরিন আখতারসহ ১১ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, যুবদল কর্মী আব্দুস সামাদ পিন্টু, পিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আক্তার রেশমা, যুবদল নেতা আরিফুল ইসলাম মানিক, সবুজ শেখ, সিরাজুল ইসলাম কালু, আল-মামুন, সাগর, জিন্নাত আলী, ইব্রাহীম খলিল ও আরিফ।
নাসরিন আখতারের সঙ্গে শফিউল ইসলামের দ্বন্দ্বের জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়। পরে নাসরিন জবানবন্দিও দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
এসএস/আরবি/