ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে বুধবার (১৩ মার্চ) এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম।
মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ৩৪ জনকে।
শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত সোমবার ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কমকর্তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমতির জন্য নথি পাঠান।
মেজর জিয়া ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, মো. মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী, মো. আরাফাত রহমান, শফিউর রহমান ফারাবি। মেজর জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক রয়েছেন।
এর মধ্যে মেজর জিয়াকে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী এবং ফারাবিকে উসকানি বা প্ররোচনাদানকারী হিসাবে শানাক্ত করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কমকর্তা এ হত্যাকাণ্ডে ১১ জন জড়িত ছিল বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন কিন্তু সঠিক নাম ঠিকানা না থাকায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। অভিযোগপত্রে আরো বলেন যাদের মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের পূর্ণ নাম-ঠিকানা পেলে সম্পূরক র্চাজশিট দেওয়া হবে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে ৭ জন জামিনে আছেন। জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—জাফরান হাসান, সাদেক আলী মিঠু, জুলহাস বিশ্বাস, আমিনুল মল্লিক, তহিদুল রহমান সামা, সিফাত ওরফে ইফরান ও আবুল বাসার।
আবুল বাসার গত ২০১৬ সালের ২৭ নভেন্বর মারা গেছেন। কারাগারে আছে—আবুল সবুর সাদ ওরফে রাজু, অমিনুল হাসান শামীম, শফিউর রহমান ফারাজী, আবু সিদ্দিকি সোহেল, মোজাম্মেল হোসেন নাইমুল, শামীম তারেক ও মান্না ইয়াহিয়া। কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ২০১৭ সালের ২ নভেন্বর মান্না ইয়াহিয়া মারা যান।
এদের মধ্যে থেকে আদালতে দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন তিনজন। তারা হলেন—মোজ্জামেল হোসেন সায়মুন, আবু সিদ্দিক সোহেল ও আরাফাত হোসেন শামস।
৪৫ বারের মতো প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সময় পেয়েছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা। গত রোববার ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিট্রন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনসারী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৫ মার্চ দিন ধার্য করেছিলেন। তবে তার আগেই ১৩ মার্চ প্রতিবেদন জমা দিলেন মামলার তদন্তকারী কমকর্তা।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন এলাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ।
অভিজিৎ রায়ের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় ২০১৫ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিজিৎ রায় হত্যার সময় ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। এরপর ডিএমপির ফেসবুক পেজে অভিযুক্ত সোহেলসহ ছয়জনের ছবি দিয়ে তাদের ধরিয়ে দিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
এমএআর/এমজেএফ