আসামিরা হলেন— নুরুল হক, শেখ আলম, ফিরোজ আলম, মোশারফ হোসেন, মাসুদ রানা ও রেনু মিয়া ওরফে রনি।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার এসআই এলিস মাহমুদ আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন বাতিল করে দিয়ে একদিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে বলেন, গত ১০ জানুয়ারি মামলার বাদী মো. কৌশিক আহম্মেদের কাছ থেকে কাস্টমসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আসামিরা ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তারা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিরীহ লোকদের চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন। আসামিদের নাম-ঠিকানা যথেষ্ট সন্দেহজনক। আসামিদের আসল নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক।
প্রতারক এ চক্রটির সদস্যরা কাস্টমসের বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে তারা এ পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে দাবি করে র্যাব। ওই ছয়জনকে গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে কাস্টমসের সহকারী কমিশনারের দুটি র্যাংক ব্যাজ, দুটি সাদা শার্ট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২০টি ভিজিটিং কার্ড ও আটটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিনগত রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৬ সদস্যক আটক করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৯
এমএআর/এমজেএফ