সকালে জুয়েল রানা নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী জজ) পরিচয়ে সিএমএম মো. জাহিদুল কবিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য আসেন। ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেওয়ায় সিএমএম তাকে খাসকামরায় সাক্ষাৎ দেন।
সাক্ষাতের সময় খাসকামরায় তিনি নিজেকে ১২তম জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত বলে জানান। এক পর্যায়ে তিনি একটি মামলার আসামির জামিনের বিষয়ে কথা বলেন। কথা বলার সময় কিছু ভুলশব্দ উচ্চারণ করেন। এতে সন্দেহ হয় জাহিদুল কবিরের।
ওই ব্যক্তিকে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলেন। এরপর ১২তম জুডিশিয়াল সার্ভিসের পরীক্ষার রোল জানতে চাইলে তিনি একটি পরীক্ষার প্রবেশপত্র বের করে দেন। সেখানে রোল নম্বর ছিল ৮২০৩। ওই রোল নম্বর যাচাই করে দেখা যায়, ওই রোল নম্বরের পরীক্ষার্থীর নাম ছিল আব্দুল্লাহ আল নোমান। বাড়ি কক্সবাজার জেলায়।
পরে জেরার এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, তার আসল নাম মো. জুয়েল রানা। তিনি টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার বিশাদ বেটকা মুন্সিপাড়ার আব্দুর রউফের ছেলে।
ওই ঘটনার পরে সিএমএম আদালত থেকে প্রতারক জুয়েল রানাকে রাজধানীর কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ বাদী হয়েই কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
এমএআর/এএ