অব্যাহতির আদেশ বাতিল চেয়ে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
গিরিধারী লাল মোদী ও অজয় চক্রবর্তীর পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
রায়ের পর আমিন উদ্দিন মানিক জানান, অর্থপাচার মামলায় বিচারিক আদালতের অব্যাহতির আদেশ বাতিল করেছেন। এখন তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলবে। এ রায় পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে তাদের আত্মসমর্পণও করতে হবে।
আমিন উদ্দিন মানিক মামলার নথি থেকে বলেন, দুদকের অনুসন্ধানে উত্তরা ব্যাংকের যশোর নোয়াপাড়া শাখায় গিরিধারী লাল মোদীর ম্যানেজার অজয় চক্রবর্তী ১৯৯৮ সালের ২৩ জুলাই নিজ নামে একটি হিসাব খোলেন। যার নং ২৭৬। উত্তরা ট্রেডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের বেতনভোগী কর্মচারী অজয় চক্রবর্তী এ একাউন্টে হিসাব খোলার তারিখ (২৩/৭/৯৮) হতে হিসাব বন্ধ হওয়ার তারিখ (১৬/০৩/২০০৩) পর্যন্ত মোট ৬৪,৬৮,৪৬,৯১৫ টাকার অস্বাভাবিক আর্থিক লেনদেন দেখা যায়। যা একজন নিম্ন বেতনভোগী কর্মচারীর পক্ষে অস্বাভাবিক।
বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গোচরীভূত হওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদন্তের জন্য পরামর্শ দেন। উল্লেখিত অংকের এ টাকার মধ্যে মোট ৫,৯৩,৬১,৬৫৯ টাকার লেনদেন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০২ কার্যকরী হওয়ার পর পরিচালিত হয়েছে। অনুসন্ধান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক শেখ ফাইয়াজ আলম গত ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর যশোর অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী তদন্তকারী কর্মকর্তা মুহা. মাহবুবুল আলম ২০০৮ সালের ৩০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
‘২০১০ সালের ৩০ নভেম্বর যশোর সিনিয়র স্পেশাল জজ তাদেরকে চার্জ শুনানির সময় মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ২০১১ সালের ১০ এপ্রিল হাইকোর্টে বিচারিক আদালতের অব্যাহতি আদেশ বাতিল চেয়ে ফৌজদারি বিবিধ মামলা দায়ের করেন। একই সনের ২৫ এপ্রিল হাইকোর্ট অত্র মামলায় অব্যাহতি আদেশ কেন বাতিল করা হবে না সেই মর্মে রুল জারি করেন। রুল শুনানি শেষে রুলটি সঠিক মর্মে মঙ্গলবার রায় দেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
ইএস/এমজেএফ