বুধবার (১০ এপ্রিল) প্রতিষ্ঠানটির তিন শিক্ষিকা আদালতে হাজিরা দিলে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী বাদীর উপস্থিতিতে ৩০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়া বিষয় শুনানি জন্য দিন ধার্য করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কামরুল হাসান গত ২০ মার্চ শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদনসহ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আরাকে আসামি করে মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন।
গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে অ্যাডভোকেট বাহাউদ্দিনের মাধ্যমে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আরা আত্মসমর্পণ করে ৫ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন পান।
২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে পুলিশ গ্রেফতার করে, ১০ ডিসেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান।
তার আগে ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষার সময় অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল রয়েছে, এমন অভিযোগে পরদিন অরিত্রীর মা-বাবাকে স্কুলে নিয়ে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অসম্মান করেন। পরদিন মেয়ের ছাড়পত্র নিয়ে যেতে বলেন অরিত্রীর বাবাকে।
বিষয়টি নিয়ে পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। অপমানিত হয়ে অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে বাসায় গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ঘটনায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কমিটি অভিযুক্ত তিনজনকেই অব্যাহতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা,এপ্রিল ১০,২০১৯
এমএআর/জেডএস