বুধবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ ড. শেখ গোলাম মাহবুব এ রায় দেন।
দণ্ডিত ছয় আসামি হলেন- নুর আলম, মো. নজরুল ইসলাম ওরফে তুহিন, মো. মান্নান, খোকন চন্দ্র বিশ্বাস, মো. কামাল মুন্সি ও মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে সজল।
রায় ঘোষণার সময় আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ ভোরে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের পর রাতে ভোট গণনা শেষে ১৪ মার্চ ভোর সোয়া ৪টার দিকে আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া তার জুনিয়র তিন আইনজীবী রাফিয়া আক্তার পল্লবী, কামরুন্নাহার সীমা ও আজমিনা বেগম মনিকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য তার প্রাইভেটকার নিয়ে গুলশান নিকেতনের উদ্দেশে রওয়ানা হন।
গাড়িটি ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তৎকালীন তেজগাঁও থানাধীন মধ্যকুনিপাড়ার হাতিরঝিল মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি কাঞ্চনের বাসার পূর্বপাশে ২ নম্বর লেনের পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে পেছন থেকে আসা একটি কালো গাড়ি তাদের গাড়ির সামনে ব্যারিকেড দিয়ে দাঁড়ায়। ওই গাড়ি থেকে দণ্ডিত অস্ত্রধারী আসামিরা আইনজীবীদের গাড়ি থেকে নামতে বলে। গাড়ি থেকে না নামায় অস্ত্রধারী আসামিদের একজন আইনজীবী গোলাম কিবরিয়াকে উদ্দেশ্য করে গুলি করেন। সরে যাওয়ায় গুলি গাড়ির দরজার গ্লাসে লাগে।
তখন অস্ত্রধারীরা গোলাম কিবরীয়াসহ অন্যদের গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে সঙ্গে থাকা স্বর্ণের চেন, ব্রেসলেট, মোবাইল হ্যান্ড ব্যাগ ও নগদ টাকা কেড়ে নিয়ে রাস্তায় তাদের ফেলে দিয়ে প্রাইভেটকার নিয়ে বাড্ডার দিকে দ্রুতগতিতে চলে যায়। বাদীর গাড়িসহ লুণ্ঠিত মালামালের মূল্য ছিল ২০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।
ওই ঘটনায় আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পনগর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তদন্ত শেষে একই বছরের ৮ জুলাই পুলিশ পরিদর্শক মাহবুব উর রশিদ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। আদালত ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সম: ২০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
এমএআর/এএ