মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ১১ মামলার মধ্যে একটি মামলা অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য ও বাকি ১০ মামলা অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিলো। মামলাগুলো হাইকোর্টে স্থগিত আছে জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন তার (খালেদা জিয়া) আইনজীবীরা।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলাগুলোর উপর সময়ের আবেদন শুনানি শেষে নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।
মামলাগুলো হলো- দারুস সালাম থানার নাশকতার ৮ মামলা, যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলাসহ ২ মামলা ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা।
২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে’ খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না’।
খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে দেশদ্রোহী অ্যাখ্যা দিয়ে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি দায়ের করেন।
এছাড়াও ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে নুর আলম নামে এক যাত্রী হত্যায় অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থানায় দুইটি মামলা ও একই বছরের বিভিন্ন সময় দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট থানায় আটটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯,
এমএআর/জেডএস