বুধবার (১৭ এপ্রিল) রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
আবেদনে নুসরাতকে রক্ষায় অবহেলাকারী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, ঘটনা অনুসন্ধানে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন, ঘটনার বিচারে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, নুসরাতের পরিবারের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলাটির যাথযথ তদন্তে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজীর ওই মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাফিকে চাপ দেয় তারা।
পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া রাফিকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত জাহান রাফি মারা যায়।
শ্লীলতাহানির মামলায় আগে থেকেই কারাবন্দি ছিলেন সিরাজ উদদৌলা। আর হত্যা মামলা হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর মধ্যে সিরাজ উদদৌলার ‘ঘনিষ্ঠ’ নূর উদ্দিনকে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে এবং শাহাদাত হোসেন শামীমকে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে মুক্তাগাছা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। নুসরাত হত্যা মামলায় নূর উদ্দিন ২নং আসামি এবং শামীম ৩নং আসামি।
বাকি আসামিদের মধ্যে সিরাজ উদদৌলাসহ ১০জন রিমান্ডে রয়েছেন। এরা হলেন- সিরাজ উদদৌলা (৭ দিন), আওয়ামী লীগ নেতা মকসুদ (৫দিন), জাবেদ হোসেন (৭ দিন), নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, আবছার উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম, উম্মে সুলতানা পপি ও যোবায়ের হোসেন ৫ দিন করে রিমান্ডে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
ইএস/এমএ