বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে এ মামলা করেন রাজধানীর লালবাগের ৫৯, হরনাথ ঘোষ রোডের মৃত সোবাহান মোল্লার মেয়ে মোসা. রেহানা আক্তার রত্মা।
মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার শুনানি শেষে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগের বিষয় তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে চকবাজার থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় দেলোয়ার হোসেনের বড় ভাই মো. মোশারফ হোসেনকেও আসামি করা হয়। এসআই সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায় কর্মরত।
আদালতে আরজিতে করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর বাদীর সঙ্গে আসামি দেলোয়ার হোসেনের বিয়ে হয়। পরে বাদীর সম্পত্তি দেখে আসামি দেলোয়ার তা আত্মসাৎ করার জন্য কৌশলে বাদীকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। ঘরদোর ভালো ছিলো না বলে বাদীর নিজের ভাগের ঘর বন্ধক রেখে ২০১০ সালের ২৪ ডিসেম্বর তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন স্বামীকে।
এরপর দেলোয়ার ২০১১ সালের ৭ মে বাদীর ভাগের নিচতলা বন্ধক রেখে চার লাখ টাকা নেন। পরের বছর ৪ মার্চ বাদী চতুর্থ তলার ভাড়া নিয়ে তা মর্টগেজ দিয়ে তিন লাখ টাকা এনে দেলোয়ারকে দেন।
এরপর মামলার ২ নং আসামি মোশারফ হোসেন বাড়ি নির্মাণের জন্য এক লাখ ২০ হাজার টাকা নেন। বাড়ি নির্মাণ করার কথা বলে তারা মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
পরে দেলোয়ারের প্রমোশনে ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজন জানালে বাদী তাকে জমি বিক্রি করে এবং ফ্ল্যাট বিক্রি করে ২৫ লাখ টাকা দেন। এভাবে আসামিরা প্রায় ৪৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেন বলে আরজিতে অভিযোগ করা হয়।
এ বিষয়ে বাদী ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আইজিপি বরাবর আবেদন করলে বিষয়টি তদন্ত হয়। ওই প্রতিবেদনে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের বিষয়টি উঠে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
এমএআর/এমজেএফ