এর আগে এ দু’জনই রিমান্ডে ছিলো। জাবেদ ১৩ এপিল চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এ দুই আসামির রিমান্ড শেষে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সারাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
পিবিআই’র পরিদর্শক শাহ আলম তাদের আদালতে উপস্থিত করার তথ্য নিশ্চিত করেন।
তবে তাদের জন্য নতুন করে রিমান্ড আবেদন করা হবে না তারা দু’জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত করেননি।
এ হত্যাকাণ্ডের গ্রেফতার হওয়ায় এজহারের আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এ দু’জনের নামোল্লেখ করেন।
তারা জানায় জাবেদ ও পপি সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেন। জাবেদ নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় আর পপি হাত-পা চেপে ধরে ওড়না দিয়ে বেঁধে ফেলে। এসময় তাদের সঙ্গে আরো তিনজন ছিলো।
নুসরাতের হত্যাকাণ্ডের দিন পপিকে পরিচয় গোপন করে শম্পা নামে ডেকেছিলো হত্যাকারীরা। নুসরাত মৃত্যু শ্যায্যায় জবানবন্দিতে এ শম্পার নামোল্লেখ করেছিলো।
৬ এপ্রিল (শনিবার) সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে ওই মাদ্রাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী সহপাঠী নিশাতকে ছাদের উপর কেহ মারধর করেছে এমন সংবাদ দিলে সে ওই বিল্ডিংয়ের তিনতলায় যায়। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়।
সে অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের নামোল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামালা দায়ের করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত এজহারের ৮ জন গ্রেফতারসহ মোট ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ৪ জন। ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দেওয়া হয়।
২৭ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
এসএইচডি/এএটি