রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে ফেনীর সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহম্মদের আদালতে তাকে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই'র পরিদর্শক মো. শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আসামি জোবায়ের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে ১০ এপ্রিল জোবায়েরকে সোনাগাজী থেকে গ্রেফতার করা হয়। ১১ এপ্রিল একই আদালত তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড দেন। জোবায়ের নুসরাতের সহপাঠী ছিলো এবং সোনাগাজী পৌর শহরের আবুল বাশারের ছেলে।
মামলার অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসে জোবায়ের কথা। শামীম বলেছেন, নুসরাতকে মেঝেতে শুইয়ে ফেলার পর জোবায়ের নুসরাতের ওড়না দুই টুকরো করে তার হাত ও পা বেঁধে ফেলেন।
এদিকে শনিবার জোবায়েরকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পিবিআই। এ ঘটনায় ব্যবহৃত বোরকা উদ্ধার করা হয় খাল থেকে।
গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত আলিমের আরবি পরীক্ষা প্রথম পত্র দিতে গেলে মাদ্রাসায় দুর্বৃত্তরা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫দিন পর ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়। পরদিন ১১ এপ্রিল বিকেলে তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতে ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। ১০ এপ্রিল থেকে মামলাটির দায়িত্ব পায় পিবিআই। এরপর থেকেই আসামিরা গ্রেফতার হতে থাকেন। এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ২১ জন আসামি, আদালতে জবাবন্দি দিয়েছেন সাতজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এসএইচডি/এএটি
আরও পড়ুন...
**নুসরাত হত্যার অন্যতম আসামি মকসুদকে আ’লীগ থেকে অব্যাহতি