মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৭ মার্চ এ মামলার শুনানি শেষে সিএভি ঘোষণা করা হয়।
২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই সময় আসামি ছিলেন তিন জন। তারা হলেন- শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকার হেদায়েথ উল্লাহ ওরফে মো. হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি (৮০), রাজাকার এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু (৭০) ও রাজাকার সোহরাব ফকির ওরফে সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ আলী (৮৮)।
আঞ্জু-মঞ্জু দুই ভাই। তিন জনের মধ্যে মঞ্জু ও রাজাকার ছোরাপ আটক ছিলেন।
পরে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু।
তিনজনের বাড়িই নেত্রকোণার আটপাড়া থানার কুলশ্রীতে। তবে আঞ্জু থাকেন রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার হেতেমখাঁ মেথর পাড়ায়। অপরদিকে ছোরাপের বসবাস ছিলো একই জেলার মদন থানার জাহাঙ্গীরপুরে।
এর আগে ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান।
৪০ জনের সাক্ষ্যে তাদের বিরুদ্ধে আটক অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, গণহত্যা এবং দেশত্যাগে বাধ্যকরার মতো অপরাধের সন্ধান পাওয়া গেছে।
নেত্রকোনার আটপাড়া থানার মধুয়াখারী গ্রাম, মোবারকপুর গ্রাম, সুখারী গ্রাম এবং মদন থানার মদন গ্রামে তারা এসব অপরাধ সংগঠন করেছেন। যার ভিত্তিতে এই তিন আসামির বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
ইএস/জেডএস