ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পাবনায় তিন পুলিশ হত্যা মামলায় ৮ চরমপন্থির যাবজ্জীবন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
পাবনায় তিন পুলিশ হত্যা মামলায় ৮ চরমপন্থির যাবজ্জীবন আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ হত্যা মামলার আসামিরা, ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: পাবনার বেড়া থানার চাঞ্চল্যকর তিন পুলিশ হত্যা মামলায় ৮ চরমপন্থির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক অনুপ কুমার জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালাচর গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (পলাতক), জেলার আটঘরিয়া চাঁদপুর গ্রামের মৃত ঢালু প্রামাণিকের ছেলে হাশেম ওরফে খোকন ওরফে বাচ্চু (পলাতক), রাজবাড়ী জেলার মাইছে ঘাটা গ্রামের মৃত চেনের উদ্দিনের ছেলে জোসন মোল্লা, বেড়া উপজেলার রাজধরদিয়া গ্রামের মৃত ওফাজ ফকিরের ছেলে নিজাম ফকির, ধারাই গ্রামের মৃত জনা মণ্ডলের ছেলে রফিক ওরফে জৈটা রফিক, পশ্চিম কাছাদিয়া গ্রামের আলীর ছেলে আইয়ুব আলী ও শমসের সরদারের ছেলে শুকুর আলী সরদার এবং জেলার সুজানগর থানার পাকুরিয়া গ্রামের মৃত জেসের আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে কানা আলম। তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টির সদস্য।

রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু বাংলানিউজকে জানান, মামলায় মোট ১৬ জন আসামি ছিলেন। এর মধ্যে আটজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে জহুরুল ইসলাম ও হাশেম ওরফে খোকন এখনো পলাতক রয়েছেন।

এর আগে ২০১০ সালের ২০ জুলাই পাবনার বেড়ায় চরমপন্থিদের হাতে নিমর্মভাবে খুন হন তিন পুলিশ সদস্য। ২০ জুলাই রাতে পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালাচর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক কফিল উদ্দিন (৫০), নায়েক ওয়াহেদ আলী (৩৫) ও কনস্টেবল শফিকুল ইসলামকে (৩৫) গুলি করে হত্যা করে চরমপন্থিরা।

এ ঘটনায় পাবনার বেড়া থানার পুলিশ কনস্টেবল রশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে পরদিন ২১ জুলাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এতে ১৬ জনকেই অভিযুক্ত করা হয়। মামলাটি পরে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০১৬ সালে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ ৯ বছর পর সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে এ রায় ঘোষণা করা হলো।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবু বক্কর ও রাইসুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯/আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।