ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রূপপুরের সেই দর নিয়ে ব্যারিস্টার সুমনের রিট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
রূপপুরের সেই দর নিয়ে ব্যারিস্টার সুমনের রিট

ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনে আসবাবপত্রসহ অন্য আনুষঙ্গিক কাজের দরপত্রের বিষয়ে জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের ওপর সোমবার (২০ মে) শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন।
 
রোববার (১৯ মে) ব্যারিস্টার সুমন বলেন, গ্রিন সিটিতে অস্বাভাবিক মূল্য ধরা হয়েছে।

এটা কয়েকটা পত্রিকায় আসছে। তাই আমরা নিয়ে আসছি। একটা বালিশের দাম ধরা হয়েছে প্রায় ছয় হাজার টাকা। কেটলি নিচ থেকে উপরে নেওয়ার দাম ধরা হয়েছে প্রায় তিন হাজার টাকা। এটা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। গণপূর্ত বিভাগ একটি তদন্ত কমিটি করছে। গণপূর্ত বিভাগের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সুতরাং, ওনারা নিজেরা তদন্ত করতে পারেন না। জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি থাকা দরকার। এজন্য রিট করেছি।   
 
এদিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনে আসবাবপত্রসহ অন্য আনুষঙ্গিক কাজের দরপত্রের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে গৃহায়ন ওগণপূর্ত মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে তা তদন্তের জন্য দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

>> রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘দর’ তদন্তে ২ তদন্ত কমিটি

রোববার (১৯ মে) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ডেলিগেটেড ওয়ার্ক হিসেবে গণপূর্ত অধিদপ্তর নির্মাণাধীন ৬টি ভবনে আসবাবপত্রসহঅন্য আনুষঙ্গিক কাজের জন্য দাপ্তরিক প্রাক্কলন প্রণয়নপূর্বক ৬টি প্যাকেজে ই-জিপিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্যাকেজসমূহের প্রতিটির ক্রয়মূল্য ৩০.০০ কোটি টাকার নিম্নেপ্রাক্কলন করায় গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদন ও ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। এক্ষেত্রে দাপ্তরিক প্রাক্কলন প্রণয়ন, অনুমোদন ও ঠিকাদার নিয়োগে মন্ত্রণালয়ের কোনোসংশ্লিষ্টতা নেই। ’
 
এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে একজন অতিরিক্ত সচিব এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরথেকে একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে আলাদা দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সব ধরনেরপেমেন্ট বন্ধ রাখতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
 
আলোচ্য কাজের বিপরীতে এখনো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধ করা হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঠিকাদারপ্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮  ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।