ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ব্রাইট ফিউচারের এমডিসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৯
ব্রাইট ফিউচারের এমডিসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা প্রতীকী ছবি

ঢাকা: ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রেজাউল ইসলাম সোহেলসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন অন্তঃসত্ত্বা এক নারী।

মামলার অপর আসামিরা হলেন— ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লিমিটেডের এমডি রেজাউল ইসলাম সোহেলের সহযোগী পারভীন আক্তার, কাজী সামছুর রহমান  ও হারুন অর রশিদ।

সোমবার (২৭ মে) ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শরীফ উদ্দিনের আদালত মামলাটি দায়ের করেন ওই নারী।

ওইদিন শুনানির পর মঙ্গলবার (২৮ মে) ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানাকে মামলার অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী শুভ্র সিনহা রায় বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলায় বাদীর অভিযোগ, রেজাউল ইসলাম সোহেলের সঙ্গে বাদীর ২০১২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরে ৩ কাঠা প্লট ক্রয়ের মৌখিক চুক্তি হয়।

চুক্তি মোতাবেক বাদী সোহেলকে ২৪ লাখ টাকা দেন। ১৪ মাস পরে সোহেল চুক্তিটি বাতিল করে গার্ডিয়ান রিয়েল এস্টেট থেকে একটি ফ্ল্যাট বাদীকে দেয়ার লিখিত চুক্তি করেন। ২ বছর পরও সোহেল সেটাও বুঝিয়ে দিতে টালবাহানা শুরু করলে এক সালিশে আসামি তার একটি প্রজেক্ট বিক্রি করে বাদীকে ৬৪ লাখ টাকা দেবেন বলে জানান এবং তার এক কর্মচারী ৭ লাখ টাকার ৬টি চেক বাদীকে দেন।

অভিযোগে বাদী আরো বলেন, চেক দেওয়ার পর আসামি সোহেল বাদীকে বিমা চেক ও চুক্তিনামা ফেরত দিতে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। এ ব্যাপারে বাদী ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে বাদী ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর সিএমএম আদালতে আসামি সোহেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার পর তা তুলে নিতে আসামি হুমকি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি বাদীকে আপসের প্রস্তাব দেন। আসামি পারভীন আক্তার আপসের বিষয়ে বাদীকে বোঝান এবং তাকে অন্যত্র প্লট দেওয়ার আশ্বাস দেন।  

গত ২৪ এপ্রিল আসামিদের সাথে বাদীর মামলা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। বাদী আপসের কথা না মানলে সোহেল তাকে তার নিজ রুমে নিয়ে আলাপ করেন। সোহেল বাদীকে প্রস্তাব দেন— তাকে সন্তুষ্ট করতে পারলে বাদীকে তিনি জমি ফেরত দেবেন। বাদী অন্তঃসত্ত্বা জানালে আসামি পারভীনের সহযোগিতায় আসামি সোহেল বাদীকে ধর্ষণ করে। আসামি পারভীন ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন। ধর্ষণের পর বাদী দরজায় ধাক্কা মেরে বের হওয়ার চেষ্টা করলে আসামি কাজী সামছুর রহমান এবং হারুন অর রশিদ তাকে বাঁধা দেন এবং বাদীর শ্লীলতাহানি করেন।

পূববর্তী মামলা তুলে না নিলে আসামিরা ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবেন বলে বাদীকে হুমকি দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৯
এমএআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।