বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে অস্থায়ী আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান নতুন এ দিন ধার্য করেন।
অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ১ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করে কারা কর্তৃপক্ষ। সেদিন খালেদা জিয়া আদালতে না আসায় ১০ এপ্রিল নতুন তারিখ ধার্য করা হয়। সেদিনও খালেদা জিয়া হাসপাতালে থাকায় ৬ মে, এবং পরবর্তীতে ১৯ মে একই কারণে শুনানি পেছানো হয়। সবশেষ ৩০ মে শুনানির দিন ধার্য করা হলেও পেছালো এই তারিখও।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
এরপর সংস্থার তৎকালীন সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান ২০০৮ সালের ৫ মে মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগ এনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার ১১ আসামির মধ্যে সাবেক সচিব শফিউর রহমান ২০১৮ বছরের ৫ মে মারা যাওয়ায় বর্তমানে আসামি সংখ্যা ১০ জন।
এ মামলায় গত ৩ মার্চ সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম নিজেদের নির্দোষ দাবি করে চার্জ শুনানি শেষ করেছেন। খালেদা জিয়া ছাড়া সব আসামির পক্ষে চার্জ শুনানি শেষ হয় তখন।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা, মওদুদ, মোশাররফ, শহীদুল ছাড়া অপর আসামিরা হলেন— ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন।
এ মামলায় পলাতক রয়েছেন আরও তিন আসামি। তারা হলেন- সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যথাক্রমে ১০ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাবন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৯
এমএআর/এইচএ/