সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে ফেনী জেলা দায়রা জজ সাঈদ আহ্ম্মেদ বহুল আলোচিত এ মামলার রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পূর্ব অলকা গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে আবদুর রহিম (১৯), মো. মোস্তফার ছেলে ওমর ফারুক (২২), বেলাল উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে নূর আলম ছমির ভূঁইয়া (২০) ও স্বপন ভূঁইয়া (২২)।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাফেজ আহম্মদ জানান, ২০১৫ সালের ২৯ জুন পরশুরাম পৌর শহরের পশ্চিম অনন্তপুর গ্রামের বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে শুভকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করা হয়। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে দু’দিন পর পূর্ব অলকা গ্রামের রমেশ বৈদ্যের পুকুর পাড়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা সাধন বৈদ্য বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রহমত উল্যাহ খান দীর্ঘ তদন্তের পর চার আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন। ওই বছরের ৪ জুলাই রাতে সন্দেহভাজন আটক চারজনের মধ্যে দু’জন ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তাদের মধ্যে আবদুর রহিম ও ওমর ফারুক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (পরশুরাম) মো. দেলোয়ার হোসেনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। আবদুর রহিম, ওমর ফারুক ও স্বপন ভূঁইয়া পেশায় রাজমিস্ত্রি ও নূর আলম ভূঁইয়া ট্রলিচালক। এ মামলায় ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে সব কিছু রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। চার্জশিটভুক্ত চার আসামির সবাই কারাগারে রয়েছেন।
২০১৫ সালের ২৯ জুন সন্ধ্যার পর শুভ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পেয়ে তার বাবা পরশুরাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওইদিন রাতে বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ে সমিরের নির্দেশনা মোতাবেক বাঁশঝাড় থেকে শুভর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, ১৭, ২০১৯
এসএইচডি/আরবি/