দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ঢাকা সিনিয়র স্পেশাল কেএম ইমরুল কায়েস বিকেলে এ আদেশ দেন।
দুদুক পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ তার আবেদনে বলেন, ডিআইজি মিজানের সম্পদের অনুসন্ধান শুরুর পর থেকেই তার বৈধ আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ বিক্রি ও স্থানান্তর করার চেষ্টা করছেন বলে জানা যায়।
ডিআইজি মিজানের বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে- বেইলি রিটজ ভবনের চতুর্থ তলায় ৫৫ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট, কার পার্কিং স্পেসসহ ৫৫ দশমিক ৫১ অযুতাংশ জমি, কাকরাইলে ২ কোটি ২০ লাখ টাকার একটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট, দোকান ও জমি। এসব সম্পত্তির মূল্য মোট ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬০ টাকা। এছাড়া ধানমন্ডি সিটি ব্যাংকের হিসাবে রয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি যেন হস্তান্তর, বিক্রি বা মালিকানা স্বত্ব বদল করতে না পারে, সে জন্য ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রারের নিবন্ধন পরিদফতরের মহাপরিদর্শক, তেজগাঁও শিল্প এলাকার ঢাকা রেজিস্টার কমপ্লেক্স, নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার এবং ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, গুলশান, সাভার ও উত্তরার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আদেশে বলেছেন, ডিআইজি মিজানের জব্দ করা অ্যাকাউন্টে তার নামে অর্থ জমা করা যাবে, কিন্তু কোনো অবস্থাতেই অর্থ তোলা যাবে না। সিটি ব্যাংকের ধানমিন্ড শাখার ম্যানেজারেক এ আদেশ পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ১২ জুন পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানে দায়িত্ব দেওয়া হয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোরর্শেদকে।
ঘুষগ্রহণ ও তথ্য পাচারের অভিযোগে আগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
বিতর্কিত এ ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এমএআর/এসএইচ