এ মামলায় চারজনের ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা করে জরিমানা ও পাঁচজনকে মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। জরিমানার অর্থ আইন মোতাবেক আদায় করে ভিকটিম বরাবরে দেওয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন- আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে সাগর। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, মেজবাহ উদ্দিন পলাশ, বায়েজীদ ফয়সাল, রিয়াদ ওরফে রিয়াদ হোসেন। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- বিবি কাউছার, আবু নাছের সোহাগ, ইকবাল হোসেন সুমন, আলা উদ্দিন আলো এবং মো. মাসুদ। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাগর ছাড়া অন্য সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি কৌঁসুলী হাফেজ আহম্মদ জানান, ২০১৩ সালের ২৫ মে সোনাগাজী উপজেলায় ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া একজন স্কুলছাত্রী (১৩) প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে স্কুলের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় আসামি আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে সাগরের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা ওই স্কুলছাত্রীকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
আসামি আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে সাগর এর আগে থেকেই ওই ছাত্রীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় নানা উত্ত্যক্ত করতো। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বেলায়েত হোসেন বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
সোনাগাজী থানা পুলিশ অপহরণের তিনদিন পর বান্দরবানের ইসলামপুরের লাঙ্গিপাড়ার একটি পাহাড়ের ওপর পরিত্যক্ত ঘর থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেন। ওই ঘরে আসামি সাগর তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
ঘটনার তদন্ত শেষে সোনাগাজী থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার বড়ুয়া ওই বছরের (২০১৩) ১২ জুলাই আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে সাগরসহ ১০ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
এসএইচডি/এএটি