ওই মামলায় চারজন সাক্ষী রিকল করে চেয়ে নোমানের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে বুধবার (২৭ জুন) আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান তার বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলায় ১৯ জুন বিচারিক আদালতে একটি আবেদন করে। ওই আবেদনে বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারার সাক্ষীদের জবানবন্দি পাননি বলে মামলাটির সঠিকভাবে জেরা করতে পারেননি। এ কারণে ১৬১ ধারার জবানবন্দি চেয়ে ও চারজন সাক্ষীকে রিকলের আবেদন করেন। কিন্তু আদ্লত তা নামঞ্জুর করে আগামী ৩০ জুন রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
সেই আদেশের বিরুদ্ধে আব্দুল্লাহ আল নোমান হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে তার আবেদনকৃত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারার জবানবন্দি আদালতে জমা দিয়ে চারজন সাক্ষীকে পূনঃজেরার অনুমতি দেন এবং মামলার তারিখগুলোতে কোনোরূপ অহেতুক অযুহাতে সময় ক্ষেপণ না করে তিন মাসের মধ্যে রায় প্রদানের নির্দেশ দেন।
১৯৯৭ সালের ৭ আগস্ট দুর্নীতি দমন ব্যুরো তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পত্তির হিসাব চেয়ে নির্ধারিত ছকসহ নোটিশ পাঠান। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর নোটিশটি গ্রহণ করলেও তিনি সম্পত্তির হিসাব দাখিল করেননি। সম্পত্তির হিসাব দাখিল না করায় ১৯৯৮ সালের ১৯ আগস্ট ধানমন্ডি থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন ব্যুরো।
পরে তদন্ত শেষে ২০০০ সালে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০০৪ সালে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয় বলে জানান আমিন উদ্দিন মানিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
ইএস/এমএ