বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদ কবিরের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
মামলার প্রধান আসামি ও সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান বাংলানিউজকে জানান, মামলার সাক্ষী টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ সাক্ষ্য দেন। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলার ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। আগামী ১৮ জুলাই মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ দিয়েছেন আদালত।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আমানুর রহমান খান রানাকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে নেওয়া হয়। এসময় আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ মামলায় আমানুর রহমান খান রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৯
এসআরএস