এছাড়াও একই মামলায় অপহরণের অভিযোগে আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কিরণ শংকর হালদার এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার করিমগঞ্জ পৌরসভার আশুতিয়াপাড়া গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে সুমন (২৪), কান্তু মিয়ার ছেলে ফারুক (২৬), কাশেমের ছেলে রুমন (২২) ও সোনা মিয়ার ছেলে হেলাল (২৮)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১১ মে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মাকে দেখে বাবা ও চাচার সঙ্গে রিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটি (১১)। পথে করিমগঞ্জ উপজেলার রামনগর শাহআলী মাজার এলাকায় পৌঁছালে দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আসামিরা তার আত্মীয়-স্বজনকে মারপিট করে অস্ত্রের মুখে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যান। শেষরাতের দিকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর মেয়েটিকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় একটি ব্রিজের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যান আসামিরা। পরে আহতাবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০-শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন ১২ মে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে চারজনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চার/পাঁচজনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে একই বছরের ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আসামিদের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার এ রায় দেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এম এ আফজল ও আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘন্টা, ০৯ জুলাই, ২০১৯
এসআরএস