বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ডিএসসিসির মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, তানজিম আল ইসলামের স্ত্রী সাদিকুন নাহার গত ২৯ জুন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে খিলগাঁওয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন ও তার রক্তে প্লাটিলেট ১১ হাজারে নেমে অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে দাঁড়ায়।
এ নোটিশে বলা হয়, নোটিশ গ্রহীতাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে মশা নিধন করা ও সিটির বাসিন্দাদের জন্য শহরকে বাসযোগ্য নগরীতে রূপান্তরিত করা। কিন্তু, এ এলাকায় (খিলগাঁও থানার ১ নম্বর ওয়ার্ড) প্রায় তিন বছর বসবাস করছি। এখন পর্যন্ত মশা নিধনে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। এমনকি, সচেতনতামূলক প্রচারণাও করা হয়নি। ভয়ঙ্কর এডিস মশা নিধনে আপনাদের ব্যর্থতা স্পষ্ট প্রতীয়মান ও এর জন্য আপনারা দায়ী।
‘আমার স্ত্রীর চিকিৎসা ও তার ডেঙ্গুর কারণে সন্তানসহ পরিবার অপূরণীয় ক্ষতির সম্মূখীন। এ ক্ষতির দায়ভার আপনাদের ওপর বর্তায়। কারণ, নাগরিকদের মশার উৎপাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব আপনাদেরই। আমার স্ত্রীর চিকিৎসা বাবদ ৫০ হাজার টাকা, আমার আইনজীবী হিসেবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার জন্য আড়াই লাখ টাকা, দুই সন্তানের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির পরিমাণ ও পরিবারের নিদারুণ মানসিক ক্ষতির পরিমাণ অপূরণীয় হলেও, ৪৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হলো। অর্থাৎ, আপনাদের মশা নিধনে ব্যর্থতার দরুন আমার মোট ৫০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষয়ক্ষতির জন্য আপনারা আইনত দায়ী। ’
এতে আরও বলা হয়, নোটিশ পাওয়ায় সাত কার্যদিবসের মধ্যে আপনাদের ব্যর্থতার দরুন আমার স্ত্রীর ডেঙ্গু আক্রান্তের কারণে আমাকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে বাধিত করবেন। একই সঙ্গে, এডিস মশা নিধনে কী কী পদক্ষেপ ও কত টাকা ব্যয় করেছেন, তা তথ্য অধিকার আইনমতে লিখিতভাবে অবহিত করতে অনুরোধ করা হলো। সর্বোপরি, এডিস মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ও খিলগাঁওয়ের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মশা নিধনে তিন দিনের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হলো।
অন্যথায়, টর্ট আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ আদায়ে ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য করতে, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়াসহ অন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয় এ নোটিশে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
ইএস/একে