ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

তিন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা বন্ধ নিয়ে হাইকোর্টের রুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
তিন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা বন্ধ নিয়ে হাইকোর্টের রুল

ঢাকা: এক পরিপত্রের মাধ্যমে দুই মুক্তিযোদ্ধা ও এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর সম্মানী ভাতা স্থগিত করা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ মো. তারিকুল ইসলাম।

চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। সেই পরিপত্রে বলা হয়, …বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্মোক্ত যেকোনো একটি প্রমাণকে নাম উল্লেখ থাকলে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা প্রাপ্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন। ১. ভারতীয় তালিকা ২. লাল মুক্তিবার্তা ৩. বে-সামরিক গেজেট ৪. বাহিনী গেজেট।

তবে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের (বামুস) সনদধারী কোনো ব্যক্তি/ব্যক্তিদের বা এ মন্ত্রণালয় থেকে যাদের নামে মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র/মুক্তিযোদ্ধা সাময়িক সনদ ইস্যু করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধ সম্মানী ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তাদের নাম চারটি প্রমাণকে বর্ণিত যেকোনো একটিতে অবশ্যই থাকতে হবে।

আইনজীবী তারিকুল ইসলাম বলেন, এ পরিপত্রের কারণে ৪৭ হাজার মুক্তিযোদ্ধার ভাতা স্থগিত হয়ে যায়। এর মধ্যে কক্সবাজারের মহেশখালীর দুই মুক্তিযোদ্ধা ও একজন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার ভাতাও আটকে যায়। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে তারা পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

তিন আবেদনকারী হলেন, মুক্তিযোদ্ধা মো. ফিরোজ খান ও নাজির হোসেন এবং প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আক্য মং এর স্ত্রী মিশাং।

এ আইনজীবী আরও বলেন, তাদের নাম মুক্তিবার্তায় ছিল। কিন্তু ওয়েবসাইটে সেটা আসেনি। এছাড়াও তারা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষরিত সনদে ২০০০ সাল থেকে ভাতা পেয়ে আসছিল। কিন্তু ২৪ এপ্রিলের পরিপত্রের কারণে তাদের ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। আদালত ওই পরিপত্রের মাধ্যমে দুই মুক্তিযোদ্ধা এবং এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর সম্মানী ভাতা বন্ধ করা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, উপ সচিব, সহকারী সচিবসহ ১১জনকে রিটের বিবাদী করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
ইএস/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।