ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মিন্নির মামলা নিয়ে যা বললেন খন্দকার মাহবুব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
মিন্নির মামলা নিয়ে যা বললেন খন্দকার মাহবুব

ঢাকা: ‘বরগুনায় আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডের পরে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে। কতটা সত্যি, কতটা মিথ্যা সেটা বিচারে দেখা যাবে।’

বুধবার (২৪ জুলাই) উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে বরগুনার রিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এমন মন্তব্য করেছেন।  
 
তিনি বলেন, তাকে যদি জামিন না দেওয়া হয় তাহলে আমরা অবশ্যই উচ্চ আদালতে যখন আসবে তখন এর প্রতিবাদ করবো।

কে দোষী, কে দোষী না সেটা বড় কথা নয়। আমরা চাই, আইন অনুযায়ী বিচার হবে, আইন অনুযায়ী সাজা হবে।

উচ্চ আদালতে বিষয়টি এলে মিন্নিকে আইনি সহায়তা দেবেন কি-না এমন প্রশ্নে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, অবশ্যই। বিচার যাতে সঠিকভাবে হয়, ন্যায় বিচার যাতে পায়। রাজনৈতিক প্রভাবে যাতে বিচার না হয় সেটাই আমরা দেখবো।  

পড়ুন>>রিফাত হত্যা মামলার তদন্ত পিবিআইতে হস্তান্তরের দাবি

২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফ নামে এক যুবককে। পরে ওইদিন বিকেলে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়।  

হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নয়ন নিহত হন। এর মধ্যে কয়েকজন আসামি গ্রেফতারও হয়েছেন।  
 
পরে  ১৬ জুলাই সকালে বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসা থেকে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরগুনার পুলিশ লাইনসে নিয়ে আসা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্বামী রিফাত হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ওইদিন রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
 
পরদিন ১৭ জুলাই বিকেলে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে সাতদিন রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শুনানি শেষে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিরাজুল ইসলাম গাজী ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  কিন্তু ওইদিন মিন্নির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
 
রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে ১৯ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে মিন্নি স্বীকারোক্তিমূলক  জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
 
গত ২১ জুলাই একই আদালতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে ২৩ জুলাই জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামানের আদালতে জামিন আবেদনের পর ৩০ জুলাই সেই আবেদনের ওপর শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।