সোমবার (২৯ জুলাই) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু নাসের মো. জাহাঙ্গীর আলম এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী হুমায়ন কবীর বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ১১ জুলাই ৩২ বছর বয়সী এক নারী লেখক ঢাকার এক নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেন। আদালত ওই নারীর জবানবন্দি নেওয়ার পর অভিযোগের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন।
গত ২৮ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
মামলার বাদী অভিযোগে বলেন, আসামি লোটন সিকদার অ্যান্ড পাবলিকেশন ও আকাশ পাবলিকেশনসের মালিক। লেখিকা হওয়ায় আসামির সঙ্গে তার আগে থেকেই পরিচয় রয়েছে।
তিনি ‘সংগঠক ও সংগঠন’ রাজনৈতিক বইটি লিখতে আসামি লোটনের সঙ্গে সহকারী লেখিকা হিসেবে কাজ করেন। পরে আসামির প্রতিষ্ঠান ‘আকাশ পাবলিকেশন’ থেকে প্রকাশিত ‘সময়ের আয়নায় পল্লীবন্ধু’ ছবির অ্যালবামের নির্দেশনা ও অঙ্গসজ্জার কাজও করেন তিনি। সেসময় ওই কাজের জন্য তাকে আসামির সঙ্গে দেখা করতে হত।
আসামি বিভিন্ন সময় ফোনে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মেসেঞ্জারে তার কাছে যৌন উত্তেজক ছবি পাঠানোর পাশাপাশি নোংরা প্রস্তাব দিতেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি আসামির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তার অনুরোধে বিউটি বোর্ডিং এ আসেন ওই লেখিকা। অনুষ্ঠান শেষে আসামি তাকে গাড়িতে করে বাড়িতে নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে রাজধানীর মোহাম্মাদপুর এলাকায় নিয়ে যান।
ওই এলাকার একটি নিরিবিলি স্থানে রাত ৯টার দিকে গাড়িতেই তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। ওই সময় মোবাইল ফোনে কিছু ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন আসামি। এরপর থেকে ওই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করা হত। সর্বশেষ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৩০ জুন বিউটি বোর্ডিংয়ের দোতলার একটি কক্ষে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
এমএআর/এমএ