চারজন চলচ্চিত্র নির্মাতার করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (৩১ জুলাই) এ রুল জারি করেন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম।
রুলে উন্নতমানের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা-২০১২ (সংশোধিত) এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা-২০১২ (সংশোধিত) লঙ্ঘন করে তিন দফায় ১৪টি চলচ্চিত্রে অনুদানের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না, এবং ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উপসচিব, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য সচিব ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
৯ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপনে তথ্য মন্ত্রণালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে পাঁচটি চলচ্চিত্রকে সরকারি অনুদানের সিদ্ধান্ত দেন। ২৪ এপ্রিল পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিমার্ণে ৮টি চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদানের সিদ্ধান্ত দেন। পরে ৯ মে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রেও অনুদানের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
চলচ্চিত্রগুলো হলো- জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি পরিচালিত খিজির পুরের মেসি, মো. নাসির উদ্দিন ও জাহিদ সুলতানের মিঠুর একাত্তর যাত্রা, মো. নাজমুল হাসানের রূপালি কথা, ফারাশাত রিজওয়ানের শেকল ভাঙার গান ও উজ্জ্বল কুমার মন্ডলের ময়না।
ওয়াহিদ তারেকের স্বপ্ন মৃত্যু ভালোবাসা, আবু রায়হান মো. জুয়েলের নাসু ডাকাত কুপোকাত, হুমায়রা বিলকিসের বিলকিস এবং বিলকিস, পুরবী মতিনের মেলাঘর, মীর সাব্বিরের রাত জাগা ফুল, খান শারফুদ্দীন মোহাম্মদ আকরামের বিধবাদের কথা, হোসনে মোবারক রুমির অন্তোষ্টিক্রিয়া, হৃদি হকের ১৯৭১ সেইসব দিন ও সারাহ বেগম কবরী পরিচালিত এই তুমি সেই তুমি।
আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম জানান, উন্নতমানের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা-২০১২ (সংশোধিত) এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা-২০১২ (সংশোধিত) লঙ্ঘন করে এসব চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়া হয়েছে। এ কারণে কে এম হালিমুজ্জামান, ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন, অদ্রি হ্রদেশ ও সুপিন বর্মণ হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানি শেষে আজ আদালত রুল জারি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
ইএস/এএ