রোববার (০৪ আগস্ট) এ প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী নতুন দিন করে এদিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৭ জুলাই প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ৪ আগস্ট নতুন দিন ধার্য করা হয়।
তার আগে গত ৩০ এপ্রিল আদালত ২৯ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে। সে সময়ও মামলার প্রতিবেদন জমা দেননি তদন্তকারী কর্মকর্তা।
২০১৭ সালের সালের ২১ মার্চ মুসার ছেলের শ্বশুর বাড়ি থেকে শুল্কফাঁকির একটি গাড়ি উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তারপর মুসাকে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে। তবে তিনি এই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
ওই ঘটনায় তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুসার বিরুদ্ধে শুল্কফাঁকি ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলার অনুমতি চাওয়া হয় রাজস্ব বিভাগের কাছে। সেই অনুমতি পাওয়ার পর ওই বছরের ৩১ জুলাই শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন গুলশান থানায় মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ আইনে ওই মামলা দায়ের করেন। মামলায় মুসা ছাড়াও আসামি করা হয় মো. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী (যার নামে গাড়ি নিবন্ধিত), বিআরটিএ ভোলা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী আইয়ুব আলী আনছারী ও মেসার্স অটো ডিফাইন নামে গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ওয়াহিদুর রহমানকে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভোলা বিআরটিএর কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজ দিয়ে গাড়িটি বেনামে নিবন্ধন করেন। ওই গাড়িতে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শুল্ক প্রযোজ্য ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৯
এমএআর/জেডএস