বৃহস্পতিবার দুপুরে শুনানি শেষে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার সরকার তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জ গঠনের জন্য এ নতুন আদেশ দেন।
২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌর মেয়র (বর্তমানে বরখাস্তকৃত) হালিমুল হক মিরুর সমর্থকদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ওই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর শর্টগানের গুলিতে সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার খাতুন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় মিরুকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। পরে শাহজাদপুর থানা পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ২ মে পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু, তার ভাই মিন্টুসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলায় হালিমুল হক মিরু কারাগারে থাকলেও অপর ৩৭ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত আছেন।
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তরের জন্য গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
কিন্তু প্রায় সাত মাস পর গত ১৪ জুলাই ওই প্রজ্ঞাপনটি সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পৌঁছে। বহুল আলোচিত এ মামলাটি রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পৌঁছালে গত সোমবার (৫ আগস্ট) রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে জামিনের শুনানির দিন দেওয়া হয়।
শুনানি শেষে ওইদিনও আদালতের বিচারক অনুপ কুমার সরকার আসামি মিরুর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা অন্য ৩৭ আসামিকে ১০ হাজার টাকা বন্ডের বিনিময়ে বদলি জামিন দেওয়া হয়।
মামলাটি পরিচালনা করেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু, অ্যাডভোকেট সুশান্ত সরকার, অ্যাডভোকেট রোস্তম আলী ও অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বাবু।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল আলিম মিয়া জুয়েল, অ্যাডভোকেট একরামুল হক, আসলাম সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এসএস/আরবি