বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।
আদেশের পর ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, ছয় মাসের মধ্যে তাদের একটা তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। এখন ১০ মাস শেষ হতে চলেছে। এতো দিনেও প্রতিবেদন না দেওয়ায় আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় আমরা কমিটিকে কার্যপরিধি ঠিক করে দিতে আদালতে আবেদন করি। আদালত ৫টি কার্যপরিধি নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর কমিটি গঠনে নির্দেশ দেন আদালত। এরপর ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এক কমিটি গঠন করা হয়। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (কর্মসংস্থান অনুবিভাগ) এর অতিরিক্ত সচিব/যুগ্ম সচিবকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি করা হয়।
কমিটির সদস্যরা হলেন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি (যুগ্ন সচিব পদ মর্যাদার), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি (যুগ্ন সচিব পদ মর্যাদার), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি (যুগ্ন সচিব পদমর্যাদার), পরিচালক (বাণিজ্য সংগঠন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়/যুগ্ন সচিব পদমর্যাদার একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি (যুগ্ন সচিব পদমর্যাদার), বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি (যুগ্ন সচিব পদমর্যাদার), দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি যুগ্ন সচিব পদমর্যাদার), পুলিশ মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি (ডিআইজি পদমর্যাদার)।
মালেশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি উপেক্ষা করে ১০টি এজেন্সির মাধ্যমে লোক নেওয়ার ঘটনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বঞ্চিত অপর ১০টি এজেন্সি হাইকোর্টে রিট করেছিলেন।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে জি টু জি প্লাস চুক্তির নিয়ম অনুযায়ী, কর্মী নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া হয় অনলাইনে। এ কাজের জন্য সিনারফ্ল্যাক্স নামে একটি কোম্পানিকে নিয়োগ দেয় দেশটির সরকার। মালয়েশিয়ান কোম্পানি সিনারফ্ল্যাক্সের সঙ্গে বর্তমানে কর্মী পাঠানো ১০টি এজেন্সি জোট করে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
ইএস/জেডএস