ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বানিয়াচংয়ে হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
বানিয়াচংয়ে হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার পুরান পাথাড়িয়া গ্রামের আলোচিত তিন খুনের ঘটনার ২১ বছর পর রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। পৃথক রায়ে ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এসএম নাসিম রেজা ওই রায় দেন। আদালত পরিদর্শক মো. আল আমিন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন, পুরান পাথাড়িয়া গ্রামের হাজী ইসমাইলের ছেলে করম আলী, মৃত হেলিম উল্লার ছেলে আলী মোহাম্মদ, আব্দুল হাশিমের ছেলে সুরুজ আলী ও মৃত সঞ্জব আলী তুরাব আলী।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এলাকায় পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শাহেদ আলী ও আলী আহম্মদের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শাহেদ আলীর পক্ষের সামছুল হক ও আফিল উদ্দিন এবং আলী আহমদ পক্ষের নূর মোহাম্মদ নিহত এবং উভয়পক্ষে শতাধিক আহত হন। নূর মোহাম্মদ খুনের ঘটনায় তার ভাই আলী আহম্মদ বাদী হয়ে ওইদিনই বানিয়াচং থানায় ১৩০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমরেন্দ্র বিশ্বাস ১৯৯৯ সালের ১১ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করলে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত করম আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেখসুর খালাস দেওয়া হয়।

অপরপক্ষে নিহত দু’জনের আত্মীয় আতিকুন্নেছা ঘটনার দিন বাদী হয়ে ৬২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানার এসআই অমরেন্দ্র বিশ্বাস ১৯৯৯ সালের ১১ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করলে ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামি আলী মোহাম্মদ, সুরুজ আলী ও তুরাব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।