রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে জেলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার সরকার এ রায় ঘোষণা করেন। রনি রাজশাহী মহানগরের কাজলা কেডি ক্লাব পশ্চিমপাড়া এলাকার এসএম হাবিবুর রহমানের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩ মার্চ রাজশাহী মহানগরের কাজলা কেডি ক্লাবের সামনে হাবিবুরের জামাতা বিপ্লবকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। বিপ্লব ওই এলাকার এরশাদ আলীর ছেলে। বিপ্লব ভালোবেসে রনির ছোট বোন লিজা খাতুনকে বিয়ে করেন। কিন্তু সেই বিয়ে পারিবারিকভাবে মেনে নিতে পারেননি রনি। এ বিষয় নিয়ে রনি ও বিপ্লবের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ঘটনার দিন বাড়ির সামনে ইট রাখা নিয়ে বিপ্লব ও রনির মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিপ্লবের বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান রনি। এতে ঘটনাস্থলেই বিপ্লবের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত বিপ্লবের বড় ভাই আসাদ জামান ওরফে বুলবুল ওই দিনই বাদী হয়ে রনিসহ তিনজনকে আসামি করে নগরের মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মতিহার থানা পুলিশ আদালতে বিপ্লব হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্রে এক আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে রনি ও তার বাবা হাবিবুরকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মোট ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত রনিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
রায় ঘোষণার পর রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু বাংলানিউজকে জানান, রনি গ্রেফতার হওয়ার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। তবে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন থেকে রনি পলাতক রয়েছেন। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও রনি আদালতে হাজির হননি। তাই তার অনুপস্থিতেই দুপুরে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এসএস/আরআইএস/