ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হলি আর্টিজান মামলায় আরো ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
হলি আর্টিজান মামলায় আরো ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর লণ্ডভণ্ড অবস্থার ছবি

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারির জঙ্গি হামলা মামলায় ইউনাইটেড হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ও পুলিশের এক সদস্যসহ তিন জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এনিয়ে মামলাটির ২১১ সাক্ষীর মধ্যে ১০০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। একইসঙ্গে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৯ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এদিন ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক সাদিয়া ইসলাম স্বর্ণা, নাদিম মহবুব ও পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজমের পরিদর্শক সফিউদ্দিন শেখ সাক্ষ্য দেন।

এর আগে হামলার ঘটনায় গত ২০ আগস্ট (মঙ্গলবার) যে ১০ জন সাক্ষী দিয়েছেন তারা হলেন- ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাসুম বিল্লাহ, ডা. আমিনুল হাসান, ডা. এরসাদুল্লাহ, ডা. একেএম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাত্তার, আবু তাহের ফারুকী, সিআইডির পরিদর্শক জামাল উদ্দিন, শেখ নজরুল ইসলাম, মাসুদ সিদ্দিক ও সিআইডির সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে মহানগর ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন।

এরপর ৪ জুলাই গুলশান থানার এসআই রিপন কুমার দাস বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  

তবে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয় এই হামলা নিয়ে আলোচনায় আসা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের নাম।  

পরে ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। এরপর ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। এ মামলার আসামিরা হলেন- হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ ওরফে রিপন।

এর মধ্যে পলাতক মামুনুর রশিদ ওরফে রিপনকে গত ১৯ জানুয়ারি গাজীপুর এবং শরিফুল ইসলাম ওরফে আব্দুস সবুর খানকে ২৫ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় সব আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
এমএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।