বুধবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের মামলায়ও গত ২ জুলাই একই আদালত মিজানের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ কমিশনের পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে গত ১৬ জুলাই মামলাটি দায়ের করেন। এতে মিজানের পাশাপাশি আসামি করা হয় দুদকের বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকেও।
২০১৮ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকাকে জোর করে বিয়ে করার সংবাদ প্রকাশের পর এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরে বিতর্কিত এই ডিআইজিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।
এর মধ্যে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের অবৈধ সম্পদ অর্জনের খোঁজ পায় দুদক। অনুসন্ধান শেষে তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।
কিন্তু প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা এনামুল বাছির তার (মিজান) কাছ থেকে প্রতিবেদন পরিবর্তনের জন্য ৪০ লাখ টাকা নেন বলে দাবি করেন ডিআইজি।
পরে এই ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মিজানসহ তার বিরুদ্ধে ঘুষের মামলাটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
ঘুষের মামলায় আলোচনার মধ্যে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গত ১ জুলাই হাইকোর্টে হাজির হয়ে মিজান জামিন আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে তাকে কাস্টডিতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ২ জুলাই ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
পরে তাকে ঘুষের মামলায়ও গ্রেফতার দেখানো হয়। বুধবার এ মামলায় মিজানের জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজি। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আব্দুল ছালাম।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৯
এমএআর/এইচএ/