বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ রায় দেন মানিকগঞ্জ সদর সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল অাহাম্মেদ। ওই আইনজীবীসহ তার সহকারীকে দুদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত আইনজীবীর সহকারী মো. মহিদুল ইসলামকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতের নকলকারক কাজী গিয়াস উদ্দিন মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের পাশে আব্দুল্লাহ ফটোকপির দোকানে দাপ্তরিক কাজে ফটোকপি করতে যান। এসময় ওই দোকানে ঘিওর উপজেলার পুখরিয়া গ্রামের চিকুন্দি ছেলে বারেক বেশ কিছু কাগজপত্র ফটোকপি করছেন। ওই কাগজে নকল তুলনাকারী ও বিচারকের স্বাক্ষর জাল বিষয়টি নিশ্চিত হন মামলার বাদী। বারেক জিজ্ঞাসাবাদে জানান ওই কাগজপত্রগুলো অ্যাডভোকেট আব্দুল করিম ও আইনজীবীর সহকারী মো. মহিদুল ইসলাম তাকে দিয়েছেন ফটোকপি করার জন্য। আসামিরা আদালতের অনুলিপি বিভাগের কর্মরত সংশ্লিট কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে এবং নকলসিল তৈরি করে জাল জালিয়াতিভাবে ঘিওর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের দেওয়ানী ৫১/২০১৮ মোকদ্দমার আদেশনামা, আরজি, সোলেনামা তৈরি করে অবৈধভাবে জাল জেনেও ব্যবহার করে অপরাধ করেছে। মঙ্গলবার রাতেই মানিকগঞ্জ সদর থানায় এ ব্যাপারের মামলা দায়ের করা হয়।
মানিকগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে বলেন, জাল জালিয়াতি করে কাগজপত্র তৈরি করা একটি জঘন্যতম অপরাধ। এতে আইনজীবীদের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতের নকলকারক কাজী গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়ের করেন। বুধবার সকালে আসামি অ্যাডভোকেট আব্দুল করিম ও আইনজীবীর সহকারী মো. মহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে দুই দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। মানিকগঞ্জ সদর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল করিমকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি ও আইনজীবীর সহকারী মহিদুল ইসলামকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫ ২০১৯
আরএ