এ তদন্ত কমিটি যুগ্মসচিব আব্দুস সবুর মণ্ডলের কোনো দোষ খুঁজে পায়নি। তবে, ফেরি দেরিতে ছাড়ার জন্য ওইদিন দায়িত্বরত ফেরিঘাটের ৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি।
প্রতিবেদনে যে তিনজনকে দায়ী করা হয়েছে তারা হলেন-ঘাট ম্যানেজার মো. সালাম হোসেন, প্রান্তিক সহকারী মো. খোকন মিয়া ও উচ্চমান সহকারী ফিরোজ আলম।
ঘটনা তদন্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রেজাউল হাসানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি তদন্ত শেষে এই প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করার জন্য বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে ৭ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে,
১. ঘাট থেকে ফেরি ছাড়া ও পৌঁছানোর সময় মাস্টারকে অবশ্যই স্থায়ী লগ বুক/রেজিস্ট্রারের সময় লিখে সই করতে হবে।
২. ফেরিঘাটে ভিড়িয়ে ফেরির র্যাম্প উঠিয়ে কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য কোনো ক্রমে অপেক্ষা করা যাবে না।
৩. নীতিমালার অনুযায়ী ভিআইপি সুবিধা চেয়ে কেউ ফেরি পারাপার হতে চাইলে তাকে অবশ্যই তার সরকারি ভ্রমণ বিবরণী পূর্ব হতে ফেরি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হবে। তবে, জরুরি প্রয়োজনে আগে যোগাযোগ সাপেক্ষে ও অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ নিয়মের শিথিল করা যেতে পারে।
৪. অ্যাম্বুলেন্স, মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স/ গাড়ি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে ফেরিঘাটে পারাপারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫. প্রত্যেক ঘাটে ও ফেরিতে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে গাড়ি ও ফেরি পারাপারের বিষয়গুলো পর্যাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৬. ফেরিঘাট ও ফেরিতে কর্মরত সবার নাম ট্যাগসহ নির্দিষ্ট পোশাক পরিধান করতে হবে।
৭. ফেরিঘাট ও ফেরিতে জরুরি গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল নাম্বারগুলো প্রদর্শন করতে হবে।
২৫ জুলাই ওই ঘটনার পর মানবাধিকার সংগঠন লিগ্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড পিপলস রাইটস’র চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জহির উদ্দিন লিমন জনস্বার্থে এ রিট করেন। হাইকোর্ট ৩১ জুলাই রুল জারি করে ঘটনা তদেন্তর আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯
ইএস/এএটি