আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ সচিব, শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে বলা হয়েছে।
এছাড়া রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এএফএম মোস্তফা মাসুদের দুটি বিষয়ের খাতা সাবধানতার সঙ্গে পুনর্মূল্যায়ন করে যথাযথ নম্বর দেওয়া, প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এক মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২২ আগস্ট হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের অনুলিপি সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের হাতে এসেছে।
সেরিব্রাল পালসি প্রতিবন্ধী এএফএম মোস্তফা মাসুদের বাবা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমানের করা এক রিট মামলায় এ রায় দেন আদালত। রিট আবেদনকারীরপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জুলহাস উদ্দিন আহম্মদ।
এই রায়কে ঐতিহাসিক হিসেবে উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের ফলে সরকার দ্রুত একটি যথাযথ বিধি তৈরি করবে বলে আশা করি।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, সেরিব্রাল পালসি প্রতিবন্ধী এএফএম মোস্তফা মাসুদ ২০১৬ সালে মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষায় দুটি বিষয়ে পাস নম্বর না পাওয়ায় তার খাতা পুনর্মূল্যায়নের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন মোস্তফা মাসুদের বাবা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু তার আবেদন শিক্ষা বোর্ড বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমলে না নেওয়ায় ২০১৭ সালে রিট আবেদন করেন মোস্তাফিজুর রহমান। এ রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মোস্তফা মাসুদকে কৃতকার্য দেখানো হয়। এর ভিত্তিতে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয় মোস্তফা মাসুদ। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় মোস্তফা মাসুদ। এবারও সে দুটি বিষয়ে (গণিত এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়) অকৃতকার্য হয়। সে গণিতে ৩২ নম্বর এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে ২৩ নম্বর পায়। এ অবস্থায় অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কাছে খাতা পুনরায় মূল্যায়নের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু শিক্ষা বোর্ড নম্বরপত্র পুনর্মূল্যায়ন করে দেখায় যে গণিতে ৩৩ নম্বর পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে একই নম্বর রাখা হয়। এ অবস্থায় ওই দুটি বিষয়ে খাতা পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করেন। আদালত রুল জারি করেন। এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২২ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
ইএস/জেডএস