বুধবার (১১ সেপ্টেন্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট বেলা পৌনে ১২টার দিকে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী রিশা ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়।
রিশার মা তানিয়া হোসেন রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ সহ ৩২৪/৩২৬/৩০৭ দণ্ডবিধির ধারায় হত্যাচেষ্টা ও গুরুতর আঘাত করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে রিশার মৃত্যু হলে ৩০২ ধারা সংযোগ হয়ে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয় এটি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের বৈশাখী টেইলার্সে একটি পোশাক বানাতে দেয় রিশা। ওই টেইলার্সে রিশা তার মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়েছিল। রশিদ থেকে সেই মোবাইল নম্বর নিয়ে টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ওবায়দুল খান (২৯) রিশাকে ফোনে উত্ত্যক্ত করতেন। পরে ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দিলে ওবায়দুল স্কুলে যাওয়ার পথে রিশাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। তিনি প্রেমের প্রস্তাব দেন। সাড়া না দেওয়ায় রিশাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন মামলাটি তদন্ত শেষে ওবায়দুল হককে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল ওবায়দুল হকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলাটির ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
গত ২৫ আগস্ট কারাগারে থাকা ওবায়দুল হক মামলাটিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
এমএআর/টিএ