আইন বিচার ও সংসদ বিচারক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘জাতীয় আইনগত প্রদান সহায়তা সংস্থা’ বিনামূল্যে দুই পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ টাকা আদায় করে দিয়েছে।
সংস্থাটির বার্ষিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এ আইন ও বিধিমালার আলোকে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মামলা দায়েরের আগে ও চলমান মামলায় উভয় ক্ষেত্রেই আপস মীমাংসার মাধ্যমে বিকল্প পদ্ধতিতে মধ্যস্থতা করে বিরোধ বা মামলা নিষ্পত্তির জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে জেলা লিগ্যাল অফিসার বিকল্প পদ্ধতির মাধ্যমে ১০ হাজার ৩৫৭ জন সুবিধাভোগীকে এডিআর এর সুফল দেওয়ার মাধ্যমে আট কোটি ২৫ লাখ দুই হাজার ২৭০ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে আদায় করে দেন। এছাড়া সফল বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় পরবর্তীতে উপকারভোগীরা আদালত থেকে ২৪৩টি মামলা তুলে নেন।
দরিদ্র ও অসহায় বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ নামে একটি আইন প্রণয়ন করে।
এ আইনের আওতায় সরকার ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ প্রতিষ্ঠা করে এবং দরিদ্র-অসহায় মানুষের আইনের আশ্রয় ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এ সংস্থার অধীনে প্রত্যেক জেলায় জেলা ও দায়রা জজকে চেয়ারম্যান করে একটি করে জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করে।
সরকার জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিককারণে বিচার পেতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সরকার দ্রুততম সময়ে বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার উদ্দেশে এ সংস্থার আওতায় প্রতিষ্ঠিত জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে বিকল্পবিরোধ পদ্ধতি প্রয়োগ করার কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
ইএস/আরআইএস/