ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ জুলাই ২০২৫, ২৬ মহররম ১৪৪৭

আইন ও আদালত

‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের’ দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:৫২, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের’ দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

ঢাকা: ‘বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের’ দায়ে অপূর্ব সরকার নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৪ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. খাদেম উল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।  

দণ্ডিত অপূর্ব সরকার টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরের সিংজুড়ির গ্রামের গৌর চন্দ্র সরকারের ছেলে।

রায় ঘোষণাকালে তিনি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমকে মালিবাগের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি করে দেন অপূর্ব সরকার। সে সুবাদে আসামি প্রশিক্ষণ শেষে ভিকটিমকে চাকরি করার প্রস্তাব দেন। এরপর ভিকটিমের সঙ্গে আসামির প্রেমের সম্পর্ক হয়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ভিকটিমকে তার বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তাকে মহাখালীর একটি ম্যানশনে নিয়ে যান। পরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে রাতযাপন করেন। তারপর আসামি ভিকটিমকে একাধিকবার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে রাতযাপন করেন এবং ধর্ষণ করেন। একই বছর ১৩ এপ্রিল ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে তারা বিয়ে করেন। আসামি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ভিকটিমকে ঘরে তুলবেন বলে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন।

কিন্তু ২০১৩ সালের ৭ মার্চ ভিকটিমকে আসামি জানিয়ে দেন যে, তিনি কখনো বিয়ে করেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিম ওই বছরের ২১ মার্চ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলা তদন্ত করে ওই বছরের ২০ আগস্ট নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের উপ-পরিদর্শক কুইন আক্তার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ট্রাইব্যুনাল রোববার এ রায় দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেন্বর ১৫, ২০১৯
এমএআর/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।