আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ আবেদন করে তিনি বলেন, হাইকোর্ট বিভাগে তার নিয়োগ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত তার নিয়োগের বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছিলেন।
এর আগে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ফাওজিয়াকে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
পরেরদিন তার নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ভিকারুননিসার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
এ আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ফওজিয়াকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিয়োগ দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
তবে তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপনের উপর কোনো অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেননি হাইকোর্ট। ফলে অধ্যক্ষ হিসেবে তার কাজে যোগদানে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এরপর মঙ্গলবারই ওই কলেজে যোগদান করেন অধ্যক্ষ ফওজিয়া।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে আসছিলেন সহকারী অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম। দীর্ঘদিন থেকে প্রতিষ্ঠানটি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছিল। ফলে ভর্তি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দুর্নীতির তথ্য ছিল নামি ও ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
অধ্যক্ষ নিয়োগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল ভিকারুননিসা। এতে নিয়োগ প্রত্যাশী ১৬ প্রার্থীর আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছয়জন ও বাইরে থেকে ১০ জন প্রার্থী আবেদন করেন। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নিষেধাজ্ঞার কারণে আর অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে পারেনি ভিকারুননিসা। এসব ঘটনার মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
ইএস/জেডএস