ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মা-দুই মেয়ে হত্যার স্বীকারোক্তি দিলেন আব্বাস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
মা-দুই মেয়ে হত্যার স্বীকারোক্তি দিলেন আব্বাস

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শ্যালিকা নাজনীন বেগম (২৫) ও তার দুই মেয়েকে গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি আব্বাস মিয়া।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেনের আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজিজুল হক বাংলানিউজকে জানান, পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আব্বাস মিয়া।

আদালতে আব্বাস মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে একটি ধারালো ছোড়া নিয়ে শ্যালিকা নাজনীন বেগমের ফ্ল্যাটে যান। সেখানে প্রথমে শ্যালিকা নাজনীন বেগম (সুমনের স্ত্রী) ও পরে তার দুই মেয়ে সন্তান নুসরাত (৮) ও সায়মার (২) গলা কেটে হত্যা করেন। এসময় চিৎকার-চেচামেচি করলে তার নিজের প্রতিবন্ধী মেয়ে সুমাইয়াকেও (১৫) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেন জানান, ট্রিপল হত্যা মামলার আসামি আব্বাস দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জের সিআই খোলা এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের ভাড়া বাসা থেকে নাজনীন ও তার দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আহত সুমাইয়া (১৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলেই সিদ্ধিরগঞ্জের পাওয়ার হাউজ এলাকা থেকে অভিযুক্ত আব্বাস মিয়া গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম। রাতেই ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত নাজনীন বেগমের স্বামী সুমন মিয়া বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।