ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফাহাদ হত্যায় সকালের স্বীকারোক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
ফাহাদ হত্যায় সকালের স্বীকারোক্তি ৮ অক্টোবর আদালতে ইফতি মোশাররফ সকাল (লাল দাগ চিহ্নিত)। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন এক আসামি। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর সকালকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। 

স্বীকারোক্তি দেওয়া এ আসামির নাম ইফতি মোশাররফ সকাল। তিনি বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ছিলেন।

গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালসহ এই মামলায় বুয়েট ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডের দুই দিনের মধ্যেই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সকাল।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ জোনাল টিম গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান তার স্বীকারোক্তিমূলক জবান্দবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, ওই আসামি ৬ অক্টোবর রাত ৮টা ৫ মিনিটে বাদীর ছেলে আবরার ফাহাদকে (২২) বুয়েট শেরেবাংলা হলের ১০১১ নাম্বার কক্ষ থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে ৭ অক্টোবর আনুমানিক রাত আড়াইটা পর্যন্ত ওই হলের ২০১১ ও ২০০৫ নাম্বার কক্ষে নিয়ে মামলার এজাহার নামীয় ও অন্য আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে স্ট্যাম্প এবং লাঠিসোটা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড মারধর করে। ফলে ঘটনাস্থলেই ফাহাদ মারা যান।

মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামিরা ওই ভবনের দ্বিতীয়তলার সিড়িতে তার মরদেহ ফেলে রাখে। পরে, কয়েকজন ছাত্র ফাহাদকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রকাশ্যে উল্লেখিত আসামি এজাহার নামীয় ও পলাতক আসামিরাসহ ফাহাদকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ওই আসামি জিজ্ঞাসাবাদকালে ঘটনার সত্যতা প্রকাশসহ ঘটনার বিষয়ে স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবেন বলে জানিয়েছেন। এ কারণে তার জবানবন্দি কার্যবিধির ১৬৪ ধারামতে লিপিবদ্ধ করা আবশ্যক।  

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান আবরার ফাহাদ। এই ঘটনায় পরের দিন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
কেআই/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।