ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মাছের খাদ্যে শূকরের উপাদান আছে কিনা পরীক্ষার নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
মাছের খাদ্যে শূকরের উপাদান আছে কিনা পরীক্ষার নির্দেশ হাইকোর্ট/ফাইল ফটো

ঢাকা: আমদানি করা মাছের খাদ্যদ্রব্যে শূকরের উপাদান আছে কিনা, তা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের কাছে ১১টি প্রতিষ্ঠানের থাকা এসব খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২০ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। ১১ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ।

বিদেশ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের মাছের খাদ্যদ্রব্যের নমুনা পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়।

আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, মাছের জন্য খাদ্য হিসেবে কিছু দ্রব্য আমদানি করা হয়। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়েছিল এগুলোর ভেতরে পশুর কোনো উপাদান আছে কিনা, বিশেষ করে শূকরের। এটা কাস্টমস অথরিটি টেস্ট করতে চেয়েছিল এবং তাতে স্পষ্টভাবে বলা ছিল যে অ্যান্টিবায়েটিক বা অন্য জিনিসের সঙ্গে বোবাইন বা পোরশেইন আছে কিনা। বোবায়েইন হলো চতুষ্পদ পশুর থেকে যেগুলো হয়, আর পোরশেইন হলো শূকরের উচ্ছিস্ট থেকে হয়। এগুলো আছে কিনা।

হাইকোর্ট বিভাগ এ পিটিশনটা সেভাবে অ্যালাউ না করে অন্যভাবে অ্যালাউ করেছে। যাতে এ জিনিসটি পরীক্ষা করা যায়নি। এই আমাদানি করা জিনিসের ভেতরে কোনোরকম শূকরজাত জিনিস আছে কিনা। আমাদের দেশে এটা নিষিদ্ধ। আমদানি করা যাবে বোনমেইল। যাতে শূকরের কিছু থাকবে না। সেটাই কাস্টমস পরীক্ষা করতে চেয়েছিল।

‘আজ কোর্টে এ বিষয়টি প্রার্থনা করেছি। আদালত অ্যালাউ করেছে। এখন সায়েন্স ল্যাবরেটরি এটা পরীক্ষা করবে। ’

হাসান আরিফ বলেন, ফিশ ফিড বাইরে থেকে যেগুলো আসে সেগুলো এতোদিন টেস্ট হয়ে আসছিল সায়েন্সল্যাবে, মৎস্য অধিদপ্তরের ল্যাবে, ইউনিভার্সিটির মৎস্য অনুষদসহ বিভিন্ন জায়গায়। সে টেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী এগুলো রিলিজ করা হতো।

‘হঠাৎ করে কাস্টম অথরিটি কয়েকটা শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এটা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হলো। হাইকোর্ট নির্দেশ দিল টেস্টিংয়ের জন্য পাঠাতে। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু প্রোপার বডি যেন টেস্ট করে। সায়েন্সল্যাব টেস্ট করে। ’

তিনি বলেন, এরপরেও সরকার কাস্টমসের নতুন প্রশাসনিক আদেশ দিয়ে যে টেস্টের কথা বলা হচ্ছিল সেটা চাচ্ছে। যেটা পশুখাদ্যের ব্যাপারে। তখন আদালত (আপিল বিভাগ) শুনে বললেন সায়েন্সল্যাবরেটরি এ ইস্যুগুলোর ওপর একটা ফাইন্ডিংস দিক। ১০ দিনের মধ্যে এ টেস্ট করতে বলেছে।   

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।