মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এই মামলায় আত্মসমর্পণ করে তিনি আপিলের শর্তে জামিনের প্রার্থনা করেন।
সেই জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর শুল্কমুক্ত গাড়ি বিক্রি করে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুদকের মামলায় বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদের সঙ্গে বাপ্পীকেও দণ্ড দেওয়া হয়।
এই মামলায় বাপ্পীকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার অপর পলাতক আসামি ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অপর আসামি এমপি হারুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই অভিযোগে তাকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারাগারে থাকা এমপি হারুন এরইমধ্যে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, হারুন জোট সরকারের সময় এমপি থাকাকালে ২০০৫ সালে ব্রিটেন থেকে একটি হামার ব্র্যান্ডের গাড়ি শুল্কমুক্তভাবে ক্রয় করেন।
গাড়িটি তিনি পরে আরেক আসামি ইশতিয়াক সাদেকের কাছে ৯৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর সাদেক গাড়িটি চ্যানেল নাইনের এমডি বাপ্পির কাছে বিক্রি করেন।
নিয়ম অনুযায়ী শুল্কমুক্ত গাড়ি তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করলে শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু এমপি হারুন শুল্ক না দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। এই অভিযোগে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তেজগাঁও থানার উপ পরিদর্শক ইউনুস আলী এমপি হারুনসহ তিনজনের নামে এই মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় ২০০৭ সালেরে ১৮ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। একই বছর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
বিভিন্ন সময়ে এই মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
কেআই/জেডএস