মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩’র বিচারক মোহাম্মদ মহিদুজ্জামান এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি কালীপদ অধিকারী ২০১৪ সালের ১৩ আগস্ট রাতে তার স্ত্রী দিপালী অধিকারীকে হত্যা করেন।
পরদিন সকালে কল্যাণ অধিকারী নগরীর বয়রার এক নম্বর ক্রস রোডের মসজিদের পাশের গলির একটি ভাড়া বাড়িতে এসে ঘরে তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরে তিনি পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় বোনের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে পরিবার মরদেহ সৎকার করে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই কল্যাণ অধিকারী বাদী হয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় কালীপদের বোনকেও আসামি করা হয়। কিন্তু মামলার তদন্তে শুধুমাত্র কালীপদকেই দায়ী করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে আসামি কালীপদ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। দীর্ঘদিন মামলাটি চলার পর মঙ্গলবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩’র বিচারক কালীপদ অধিকারীর বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের বিশ্লেষণে বিচারক বলেন, নিহতের ভাই যৌতুকের দাবিতে হত্যার অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করলেও স্বাক্ষ্য প্রমাণে যৌতুকের বিষয়টি প্রমাণ হয়নি। তবে হত্যার কারণে ৩০২ ধারা মোতাবেক তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
এ মামলায় সাক্ষী দিয়েছেন মোট ১২ জন। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩’র স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. খোরশেদ আলম।
রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
এমআরএম/এবি/এএটি