ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসায় হলুদ জোন স্থাপন চেয়ে রিট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৯ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসায় হলুদ জোন স্থাপন চেয়ে রিট হাইকোর্টের ফাইল ফটো

ঢাকা: প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালের প্রবেশপথে হলুদ জোন স্থাপন করে প্রত্যেক রোগীকে জরুরি চিকিৎসা দিতে নির্দেশনা জারির আবেদন জানিয়ে উচ্চ আদালতের ভার্চ্যুয়াল কোর্টে একটি রিট আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চ্যুয়াল কোর্টে এ আবেদনটি ই-মেইলযোগে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জমা দেন।

আবেদনে করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের সময় প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালে হলুদ জোন স্থাপন করে প্রত্যেক রোগীকে জরুরি চিকিৎসা দিতে নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের জন্য মাস্ক, গ্লাভসসহ করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিতে আদেশ জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

রিটে বিবাদী করা হয়েছে সংক্রমণ ব্যধি প্রতিরোধে গঠিত উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য সচিব, অতিরিক্ত সচিব(হাসপাতাল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সভাপতি/সম্পাদককে।

মনজিল মোরসেদ জানান, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত হওয়ার পরে সরকার তাদের চিকিৎসা ও পরীক্ষা নির্দিষ্ট কয়েকটি হাসপাতালে করার ব্যবস্থা নেয়।  ভাইরাসটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে রোগীর সংখা বেড়ে যায়।  এছাড়া, সাধারণ জ্বর, সর্দি, গলাব্যথার রোগীও বেড়ে যাওয়ায় ডাক্তারদের শরণাপন্ন হতে হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যে, অনেক বেসরকারি হাসপাতালে ও ক্লিনিকে রোগীরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না।  এমনকি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী মারা যাচ্ছে।  এসব প্রতিবেদনে পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সব রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে রিট মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আবেদনে বিবাদীদের ওপর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে যাতে প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পিসিআর মেশিনে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় এবং প্রবেশপথে/ গেটে হলুদ জোন করে সব রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়। কোনো রোগীর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের সেখানে থাকা অবস্থায় পিসিআর মেশিনে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।  যদি কোনো হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিজস্ব পিসিআর মেশিন না থাকে তবে সংশিষ্ট এলাকায় যে হাসপাতালে মেশিন আছে সেখান থেকে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।  হলুদ জোনে দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্স ও অন্যদের চিকিৎসার জন্য প্রযোজনীয় পিপিই, গ্লাভস, সার্জিকাল মাস্ক ও  স্বাস্থ্য সুরক্ষার অন্য উপকরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া, আদালতের আদেশে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৮ এর ৬ ধারা অনুসারে গঠিত উপদেষ্টা কমিটি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যেসব কার্যক্রম নিয়েছে বা সুপারিশ করা হয়েছে তার একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে বলে জনান মনজিল মোরসেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
ইএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।