ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ভার্চ্যুয়াল কোর্টে জালিয়াতি: জামিন বাতিল, আইনজীবীকে শোকজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২০
ভার্চ্যুয়াল কোর্টে জালিয়াতি: জামিন বাতিল, আইনজীবীকে শোকজ

ঢাকা: জালিয়াতি করে জামিন নেওয়ার অভিযোগে খুলনার দিঘলিয়ার টিপু শেখ হত্যা মামলার ৫ আসামির জামিন বাতিল করেছেন উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে তারা যদি জামিনে বেরিয়ে যান তাহলে সাত দিনের মধ্যে ৫ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে আইনজীবীকে শোকজ করা হয়েছে। আর তারা যদি আত্মসমর্পণ না করে তাহলে তাদের গ্রেফতারে খুলনার এসপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও তাদের পক্ষে লড়াই করা আইনজীবী আর ভার্চ্যুয়াল কোর্টে আপাতত মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না।

বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের নজরে আনার পর বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১০ জুন) এসব আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার পরবিলার টিপু শেখকে অতর্কিত হামলা করে খুন করা হয়। পরে তার ছেলে আলমগীর শেখ থানায় মামলা দায়ের করেন।

আলমগীর শেখের এজাহার অনুসারে জানা যায়, ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় খুলনার দিঘলিয়া থানার পরবিলার টিপু শেখকে গাজীরহাট বাজারের পাশে কাঠালতলা ভ্যান স্ট্যান্ডে দিনের বেলায় ৩২  আসামিসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৮/১০ জন আসামি অতর্কিত হামলা করে। ...আসামিরা তার পিতার মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে উল্লাস করে চলে যান। পরে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা দেন।

এ ঘটনায় এজাহারনামীয় ৩২ আসামির মধ্যে ৫ আসামি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

তারা হলেন, সোহাগ শেখ, সেলিম শেখ, জুয়েল শেখ, লুৎফর শেখ ও আব্দুল্লাহ মোল্লা। গত ১৮ মে ভার্চ্যুয়াল আদালত তাদের নিয়মিত আদালত খোলা হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন।

তাদের আইনজীবী ছিলেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

রাষ্ট্রপক্ষে বুধবার বিষয়টি আদালতের নজরে নেওয়ার পর আদালত আদেশ দেন।

পরে ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, ১৮ মে তারা জামিন পান। এরমধ্যে এ মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী সুলতান মাহমুদ জানতে পারেন তারা জালিয়াতি করেছে। তিনি বিষয়টি আমাদের অবহিত করেন। এরপর খবর নিয়ে দেখলাম ভুয়া এজাহার বানিয়ে অভিযোগ বদল করে তারা জামিন নেন। এছাড়া এ মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে ২১ ডিসেম্বর। অথচ তারা বলেছে মামলা তদন্তনাধীন। আজ বিষয়টি আবেদন আকারে আদালতের নজরে আনা হয়েছে। আদালত তাদের জামিন বাতিল করেছেন, যদি তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে যান তাহলে ৭ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন। যদি আত্মসমর্পণ না করেন তাহলে তাদের গ্রেফতার করতে খুলনার এসপিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাদের আইনজীবীকেও শোকজ করেছেন। এছাড়া আপাতত তাদের পক্ষের ওই আইনজীবী আর ভার্চ্যুয়াল আদালতে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আদালত আদেশ দিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২০
ইএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।